কাজী মামুন / পটুয়াখালী ॥ পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউনিয়নের ৬ নংওর্য়াডে এর আব্দুর রব হাওলাদারের মেয়ে কলি (২৫) নিজ এলাকা ও ঢাকা,টাংঙ্গালে ৪ যুবকের সাথে বিয়ে ও তালাকের নামে প্রতারণার করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।র্বতমানে চতুর্থ স্বামীকে তালাক না দিয়ে পঞ্চম স্বামীর সঙ্গে সংসার পেতে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে প্রতারক কলি,কলির চতুর্থ স্বামী মামুন প্রবাসী বাংলাদেশি । বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের তেগুরিয়া গ্রামে। মামুনের বাবা মৃত ইমান আলী। তাঁর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আরেক ছেলের সঙ্গে সংসার শুরু করায় ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মামুন বিভিন্ন ছবি ও তথ্য দিয়ে প্রতারক কলির বিচার দাবি করেন।সরেজমিনে কলির বাবার বাড়ী ছোট বিঘাই ইউনিয়নে গেলে, কলির মা জানান, প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে কলির সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে মামুনের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের তিন মাস পর মামুন সৌদি আরব চলে যায়। তার মেয়ে যুবতী হওয়ায় তাকে অনত্র বিয়ে দেয়,মেয়েকে পূর্বের স্বামীর সাথে তালাক পরবর্তী বিয়ে হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেনি কলির মা।এদিকে প্রবাসী মামুন জানায় প্রতিমাসে স্ত্রীর ভরণপোষণের জন্য টাকা পাঠান। যেহেতু মামুনের স্ত্রী বাবার বাড়িতে থাকতো এ কারণে ছোট বিঘাইতে জমি কেনার জন্য মামুনকে স্ত্রী কলি জানান জমি ক্রয় করার জন্য তিন লাখ টাকা এবং ওই জমির মাটি কাটার জন্য আরো ৭৫ হাজার টাকা পাঠায়। বিয়ের পর মামুনের বাড়িতে নিতে চাইলেও সে যেতে রাজি হয়নি। এ কারণে কলি বাবার বাড়িতে বসবাস করছিলো। এ পর্যন্ত তাঁর (কলি) দৈনন্দিন খরচ এবং বাড়ি করা বাবদ প্রায় ৫ লাখ টাকা কলি নিয়েছে বলে মামুন জানায়। সম্প্রতি মামুন বাড়ি করার জন্য জমি ও মাটি কাটার ছবি ভিডিওচিত্র দেখতে চাইলে কলি টালবাহানা শুরু করে। এরপর মামুন জানতে পারে জুন মাসের শুরুর দিকে মোবাইলফোনে প্রেমের মাধ্যমে কলি পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি এলাকার রাজু নামে এক ছেলেকে বিয়ে করেছে এবং মামুনের সাথে প্রতারণা করছে ।বর্তমানে রাজুকে নিয়ে কলি তাঁর বাবার বাড়িতে অবস্থান করছে। মামুন অভিযোগ করেন, আমার স্ত্রী থাকা অবস্থায় আমাকে তালাক না দিয়ে এবং আমার কাছ থেকে নিয়মিত খরচের টাকাসহ অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়ে অন্য একটি ছেলের সাথে সংসার করছে । আমার সাথে বিয়ে হওয়ার আগেও ওর এলাকায় একটি এবং ঢাকায় দুটি ছেলের সঙ্গে ওর বিয়ে হয়, যা আমার কাছে গোপন রেখেছিল। প্রতারক এ নারীর বিচার ও আমার টাকা ফেরতসহ প্রতারক কলির শাস্তির দাবি করছি।এ বিষয় ছোট বিঘাই মাটিভাঙ্গা বাজার সংলগ্ন প্রতারক কলির বাড়ীতে গিয়ে বর্তমান বিয়েসহ সকল অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে কলি বর্তমান বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। কলি দাবি করেন, আমি প্রবাসী স্বামী মামুনকে তালাক দিয়েছি। মামুন খরচের টাকা পাঠালে আমি কি করব। এ সময় কলির কাছে তালাকের কপি চাইলে তিনি তালাকের স্বপক্ষে কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেননি। মামুনের সাথে বিয়ের আগে আরো একাধিক বিয়ে করে প্রতারনা কেন করছেন, এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দেয়নি কলি। কলির বাবা আব্দুর রব হাওলাদার মেয়ের বর্তমান বিয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, মামুন তাঁর মেয়ের খোঁজখবর নেয় না। তাই অনত্র বিয়ে দিয়েছেন। তবে সৌদিপ্রবাসী মামুন প্রতিমাসে যে তাঁর মেয়েকে এখনও টাকা পাঠায় এটি তাঁর অজানা বলে তিনি দাবি করেন এবং তিনি আরও বলেন এটা মেয়ের নিজের বিষয় কলি জদি টাকা এনেথাকে তা কোথায় কিভাবে খরচ করছে বা কাকে দিচ্ছে এটা আমার জানা নেই । মামুনের আগে তাঁর মেয়ের আরো তিনটি বিয়ে হয়েছিল কি-না এমন প্রশ্নের উত্তর নাদিয়ে বিষয়টি তিনি কৌশলে এরিয়ে জায়।এ বিষয় একাধিক এলাকাবাসীর সাথে কথা বল্লে, তারা কলির এমন যঘন্ন্য কর্মকা-ে তারা বিব্রত ও এলাকার সম্মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে মনেকরেন সাথে সাথে এহেন ও কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় এনে কঠিনতম শাস্তির দাবী জানান ।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান কলির এমন প্রতারণার কাজে একই এলাকার ছোট বিঘাই ইউনিয়নের অফিসের হাট বাজারের সালমান ও মাটিভাঙ্গা বাজারের আলামিন নামে ২ যুবক সাহায্য করে সাংবাদিক ও প্রশাসন মেজে করে এবং নানা পেশার ভিত্তবান ফ্যামিলীর যুবকদের র্টাগেট করে বিয়ে ও তালাকের নামে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা।বিষয়টি ছোট বিঘাই ইউনিয়ন টক অফদি ছোট বিঘাইতে পরিনত হয়েছে, সচেতন মহল এ ঘটনায় মর্মাহত এহেনও প্রতারণার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানান।
Leave a Reply